সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে চালের ভুয়া ভিজিডি কার্ড ও অস্বচ্ছল মানুষদের টয়লেট তৈরি করে দেয়ার নাম করে দেড় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নে। এ ঘটনায় প্রলোভন দেওয়া ভুয়া ভিজিডি কার্ড প্রদানকারী জেলা শহরের পুরাতন গরুহাটি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী মোছাঃ সাবরিনা আক্তার(৩৫) ও টুপামারী ইউনিয়নের টুপামারী নদীপাড়া এলাকার মৃত কামরুল ইসলামে স্ত্রী আমিনা বেগম(৪০) নামে স্থানীয়দের পক্ষে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন টুপামারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রুহুল আমিন।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাবরিনা আক্তার ও আমিনা বেগম চালের ভিজিডি কার্ড ও টয়লেট তৈরি করে দেওয়ার নামে আমাদের কাছ থেকে ৭-১৫ হাজার টাকা নেয়। টাকার বিনিময় আমাদের একটি করে চালের ভিজিডি কার্ড প্রদান করে যাতে লিখা ছিল “জেলা প্রশাসন নীলফামসারী, ভিজিটিং কার্ড”।
এই কার্ডটি নিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে চাল তুলতে পারবে বলে ভুক্তভোগীদের জানায় সাবরিনা ও আমিনা।’
চালের ভিজিডি কার্ডটি বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রুহুল আমিনকে দেখালে সেটি ভুয়া ভিজিডি কার্ড বলে জানান ভুক্তভোগীদের।
ইউপি সদস্য রুহুর আমিন বলেন, প্রতারণার শিকার আমার এলাকার মানুষেরা আমাকে এসে ভিজিডি কার্ডটি দেখায়। কিন্তু সেটি ছিল ভুয়া। কার্ডে জেলা প্রশাসন নীলফামসারী নাম লিখা ছিল নামের বানানটিও ভুল ছিল।
এমনকি ভিজিডি কার্ডের নামের যায়গায় লিখা ছিল ভিজিটিং কার্ড। যা দেখেই স্পষ্টভাবেই বুঝা যায় এটি ভুয়া ভিজিডি কার্ড।
পরে জানতে পারি প্রতারক চক্ররা টয়লেট, মাতৃ ভাত, প্রতিবন্ধী ভাতা তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেও তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তাই স্থানীয়দের ও চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে ভুক্তভোগীদের পক্ষে আমি বাদি হয়ে থানায় তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করি।
তবে স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা বলছেন, কেবলমাত্র দুজন নারীর পক্ষে এতো কিছু করা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই এদের পিছনে আরও কেউ রয়েছে। হতে পারে বড় একটি চক্র কাজ করছে এর পিছনে। তাই এদের ধরে অনুসন্ধান করলে বড় চক্রের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবরিনা আক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বাড়ীতে ছিলেন না।তার সাথে মুঠোফোনে (০১৮২০৭০৯৯৮৩) কথা হলে তিনি বলেন আমি বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে এ সকল কাজ করি এ কথা বলে ফোন কেটে দেয়।
জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তানভিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।